রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশের রফতানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
রফতানি আয়
বাংলাদেশে রফতানি আয় বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। আর রফতানি আয় মূলত ধরে রেখেছে তৈরী পোশাক খাত। এই খাতে রফতানি আয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.২৭ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয়ের ৮৪.৫৭ ভাগই এসেছে পোশাক খাত থেকে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের রফতানি আয় এসেছে।
রফতানি আয়ের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
প্রবাসী ও রফতানি আয়ে ফের ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রফতানিকারকরা রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা এবং রফতানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা।
রফতানি আয়ে ধাক্কা লেগেছে। গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে গত মার্চে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ২.৪৯ শতাংশ। এ সময়ে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। মার্চে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে সাত শতাংশ কম অর্জন হয়েছে রফতানি আয়।
বিশ্ব জুড়ে মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনেতিক মন্দার পূর্বাভাসের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি আয়ও কমতে শুরু করেছে। আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রফতানি আয় কমে আসার কারণে বাণিজ্যের ঘাটতিও আরো বড় হয়েছে।
যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমনটিই ঘটতে শুরু করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রফতানি আয়। গত সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম ছয় মাসে পোশাকের মোট রফতানি ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।